বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
মোঃ মাসুদ সরদার গৌরনদী প্রতিনিধি :বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় টরকী সহ প্রতিটি হাট-বাজারে যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান গড়ে উঠেছে। এমনকি ঔষধের ও চাউলের মোবাইল ফ্লেক্সিলোড কীটনাশক দোকানে ঔষধের পাশাপাশি অন্যান্য মালামালের সাথে এলোমেলো ভাবে রাখা হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। অবাধে চলছে ফায়ার লাইসেন্স বিহীন এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের খুচরা ব্যবসা। এ ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নেই অনেক ব্যবসায়ীদের। যার ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের অগ্নিপাত সহ বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
প্রশাসনের কোন ধরনের তদারকি না থাকায় লাইসেস বিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা বেড়েছে। গৌরনদীতে ও তার পাশের কালকিনিতে অবাধে চলা গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসার কোন নির্দিষ্ট পরিসখ্যান পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পৌরসভা সহ ১৪ টি ইউনিয়নের প্রায় বাজারে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের এমনকি ঔষধের দোকানেও এ ব্যবসা চলছে। সরকার অনুমোদন লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছাড়াই চলছে ব্যবসা। টরকী বন্দরের গ্যাস ডিলাররা ট্রাকযোগে সিলিন্ডার পৌছে দোকানে। ট্রাক থেকে চুড়ে ফেলে গ্যাস সিলিন্ডার নামানো হয়। এতে যে কোন সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
মাঠ পর্যায়ে এই সব দোকানিদের ফায়ার লাইসেন্স তো দূরের কথা, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও তাদের নেই। ১০টির কম সিলিন্ডার দোকানে থাকলে লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না এমন আইনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার অধিক সিলিন্ডিার রেখে এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী লাইসেন্স না নিয়েই অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। লাইসেন্স আছে এমন গ্যাস ও দাহ্য পদার্থ ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য ট্রাকে করে বিপজ্জনক গ্যাস সিলিন্ডার সাজিয়ে ভাঙাচুরা পাকা-আধাপাকা সড়ক দিয়ে দ্রুত গতিতে চালিয়ে দোকানে দোকানে সরবারহ করছে। ৮টি সিলিন্ডার মজুদ করতে হলেও অধিকতর নিরাপত্তার জন্য অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হলেও তা মানছেন না খুচরা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা।
বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪ এর দ্য এলপি গ্যাস রুলস ২০০৪ এর ৬৯ ধারার ২ বিধিতে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ক্ষেত্রে এলপিজি গ্যাস মজুদ করা যাবে তা হলেখ আছে। একই বিধিতে ৭১নং ধারায় বলা আছে, আগুন নিভানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি রাখতে হবে। এই আইন অমান্য করলে সংশিষ্ট ব্যবসায়ীর দুই বছর এবং অনধিক ৫ বছরের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা দন্ড দিতে হবে এবং অর্থ অনাদায়ী থাকলে অতিরিক্ত আরো ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।
সেই মোতাবেক ৮টি গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার মজুদের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। আইনের এই ফাঁক ফোকরটিই কাজে লাগাচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪ এর দ্য এলপি গ্যাস রুলস ২০০৪ এর ৬৯ ধারার ২ বিধিতে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ক্ষেত্রে এলপিজি গ্যাস মজুদ করা যাবে তা হলেখ আছে। একই বিধিতে ৭১নং ধারায় বলা আছে, আগুন নিভানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি রাখতে হবে। এই আইন অমান্য করলে সংশিষ্ট ব্যবসায়ীর দুই বছর এবং অনধিক ৫ বছরের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা দন্ড দিতে হবে এবং অর্থ অনাদায়ী থাকলে অতিরিক্ত আরো ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।
সেই মোতাবেক ৮টি গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার মজুদের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। আইনের এই ফাঁক ফোকরটিই কাজে লাগাচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।এছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বোতলে মেয়াদ উত্তীর্নের কোন তারিখ লেখা নেই।
এ বিষয়ে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বলেন,আমরা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দোকানে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে করে কোন বড় ধরনের দূর্ঘটনা না ঘটে।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাসরিন বলেন, লাইসেন্স বিহীন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply